এখন: এই মেয়েটির নাম সোহা। আশা করি সে ভবিষ্যতে একজন জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তি হবে। সে হয়তো হবে তার পিতা জহুরুল হাসান সোহেলের মতো একজন বিখ্যাত গীতিকার -সুরকার-কণ্ঠশিল্পী, তাঁর নানী রহিমা সুলতানা কাজলের মতো একজন উদার দাতা ও সমাজ সেবিকা, অথবা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। আজ শুরু হলো তার সফল জীবনের যাত্রা । সে তার বই, ল্যাপটপ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সমস্ত সরঞ্জামাদি নিয়ে ঘরে বসে গেছে। সে আজ উপহার হিসাবে পেয়েছে একটি নতুন টেলিফোন যাতে করে সে ফেসবুকে লিখতে আগ্রহী। এক বছর আগেও কে শুনেছে অনলাইনে পড়াশুনার কথা? তবুও সোহা তার পড়াশুনা শুরু করেছে অনলাইনে।

তখন কি হয়েছিল? ঠিক ৮২ বছর আগে সোহার বাবার নানা জয়নাল আবেদীন সাহেব স্থাপন করলেন একটা স্কুল। সে স্কুলটা ছিল গ্রামের কাঁচা রাস্তার উপর। আমি ছিলাম সেই স্কুলের প্রথম ব্যাচের ছাত্র। আমরা রাস্তার দুপাশে পুরানো ধানের বস্তার ব্যাগের উপর বসতাম। আমরা লিখেছি তালপাতার উপর এবং কলম ছিল বাঁশের কঞ্চি দিয়ে তৈরী। কাঠ-পোড়া কয়লার গুঁড়ো মাটির দোয়াতে গুলে কালি তৈরী করতাম। আমাদের ফেসবুক ছিলোনা, তবে আমাদের ধুলাবালি মাখা ফেস ছিল। আর আমাদের ল্যাপটপ ছিল মা-দাদীর কোল। আমরা শিক্ষকের বেতন দিয়েছি বাড়ি বাড়ি গিয়ে মুষ্টি-ভিক্ষা সংগ্রহ করে তা দিয়ে।

আমি সোহার জন্য সুস্বাস্থ, দীর্ঘজীবন, ভালো শিক্ষা , সমৃদ্ধি, ও শান্তি কামনা করি।

May be an image of child, hair and text that says 'Online মোবাইল পেয়ে class Facebook পারবে প্রথম প্রশ্ন চালাতে কিনা'
Ayesha Sultana, Saiful Islam Shakil and 65 others
13 Comments
6 Shares
Like

 

Comment
Share