আমার স্ত্রী আয়শা আমাকে একটা গল্প বলেছেন। আমি ভাবলাম যে তার গল্পটা আমার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করি।
১৯৫০ সাল থেকে ১৯৫৫ সাল । আমার শ্বশুর অধ্যাপক আশরাফউদ্দিন সাহেব এবং অধ্যাপক জালাল আহমাদ সাহেব চট্টগ্রাম গভর্নমেন্ট কলেজে সহকর্মী ছিলেন। তাদের বাসাও ছিল পাশাপাশি। জালাল সাহেবের ছিল আট কন্যা এবং তিন ছেলে। কন্যাদের ভেতর দুজন ছিলেন আইভি এবং মুদিরা। আইভি এবং আয়শা খাস্তগীর স্কুলে একই ক্লাসে পড়াশুনা করতেন। তাদের দুজনের বন্ধুত্ব এতো ঘনিষ্ঠ ছিল যে আইভি অনেক সময় আয়শাদের বাড়িতেই ঘুমাতেন। আইভির মৃত্যু পর্যন্ত আয়শা এবং আইভি রীতিমতো যোগাযোগ রাখতেন। আমরা যখন দেশে যেতাম তখন ঢাকা পৌঁছেই আয়শা আইভিকে টেলিফোন না করলে আইভি মনোক্ষুন্ন হতেন।
আয়শার মোদিরা আপা বিয়ে করলেন আয়শার ফুফাতো বোনের ইঞ্জিনিয়ার দেবরকে। আমাদের ছেলে হামিদ মাননীয় প্রাইম মিনিস্টার শেখ হাসিনার ডাক্তার। একদিন প্রাইম মিনিস্টার হামিদকে বললেন, ” আমাদের প্রেসিডেন্ট সাহেবের শরীর খারাব। আপনি তাকেও একটু দেখে যান। ” তাই হলো। হামিদ আমেরিকায় ফিরে আসার পর আমি প্রেসিডেন্ট সাহেবকে লিখেছিলাম যে আপনাকে যে ডাক্তার দেখেছে সে হলো আপনার মরহুম স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর ছেলে। আমার মনে হয় যে আমার চিঠি প্রেসিডেন্ট সাহেবের কাছে পৌঁছেনি।
আইভি রহমান / আয়শা রাব্ব


Nasrin Ruma, Rasheda Khanom and 14 others
1 Comment
Like
Comment