
ধান রোদে শুকানোর জন্য বাংলাদেশের কৃষকরা তা উঠানে বিছিয়ে দেয়। এক ঝরনা বৃষ্টিই এই ধান ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে। তাই বৃষ্টি শুরু হওয়ার আগেই এই ধান বাড়ির ভেতর নিয়ে আসতে হয় । যেহেতু বর্ষার মৌসুমে দ্রুত চলমান মেঘ থেকে ঘন ঘন বৃষ্টিপাত হয়, তাই কৃষকদের জানা উচিত কোন মেঘ কতটা বৃষ্টি দেবে। আলহামদুলিল্লাহ একজন কৃষক হিসাবে আমি বিভিন্ন ধরণের মেঘের প্রকৃতির জ্ঞান অর্জন করেছি। আজও ধান নিয়ে আমার কাজ করার প্রায় ৭০ বছর পর কানাডায় কিছু মানুষ অবাক হয় যে, একটি মেঘ কতটা বৃষ্টি দেবে সে সম্পর্কে আমার ভবিষ্যদ্বাণী সত্য হয় ।
১৯৭০ সালের বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে দুর্যোগের পরদিন সকালে আমি আমার ঢাকা আমেরিকান স্কুলের তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে স্কুলের বাইরে ধানক্ষেত এবং ফলের গাছ দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলাম। আমরা যখন একটি খোলা মাঠে ছিলাম, আমি তখন দক্ষিণ দিগন্তের দিকে তাকিয়ে দেখি যে পুরো এলাকাটি একটি ভয়ঙ্কর চেহারার মেঘে আচ্ছাদিত। আমি মেঘের এরকম চিত্র এর আগে কখনও দেখিনি। এই রকম মেঘ দেখে আমি ভয় পেয়ে গেলাম। আমি তখন আমার ছাত্রছাত্রীদের বললাম, “আজ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তোমরা স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে যাবে। তোমাদের বাবা-মাকে বলবে যে তারা যেন সাবধানে থাকেন কারণ গতরাতে দক্ষিণের অঞ্চলে ভয়ানক কিছু ঘটেছে।” আমরা অনেক পরে জেনেছি সেদিন রাতে কি ঘটেছিলো।