যে ইংলান্ডের সাম্রাজ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল বিশ্বের অর্ধেক অংশ এবং যেখানে হতোনা সূর্যাস্ত, এবং যে ইংলান্ড ভারতীয় উপমহাদেশকে শাসন করেছে প্রায় দু’শ বছর, সেই একই ইংল্যান্ড আজ প্রাইম মিনিস্টার হিসাবে শাসন করবেন ঋষি সুনাক নামের একজন পাঞ্জাবি হিন্দু। তিনিই হবেন ইংল্যান্ডের প্রথ্ম শ্যামলাঙ্গ প্রাইম মিনিস্টার। ৪২ বছর বয়সে তিনি গত ৪০০ বছরের সর্বকনিষ্ঠ প্রাইম মিনিস্টার।
ঋষি সুনাকের মা-বাবা ১৯৬০ সালে পূর্ব আফ্রিকা থেকে ইংল্যান্ডে মাইগ্রেট করেন। ঋষি সুনাক পড়াশোনা করেন ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড ও ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে । স্ট্যানফোর্ডে তার দেখা হয় এক ভারতীয় বিলিওনেয়ারের মেয়ে আকসাতা মূর্তির সাথে। পরে তাদের বিয়ে হয় I তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে ইংল্যান্ডের সবচাইতে ধনি ব্যক্তিদের ভেতর অন্তর্ভুক্ত।
আমি আমার সংক্ষিপ্ত জীবনে অনেক বিস্ময়কর ঘটনা দেখেছি ও জেনেছি। ভারতীয় শ্যামলাঙ্গ হিন্দুর প্রাইম মিনিস্টার হওয়া এই বিস্ময়কর ঘটনাগুলোর একটি।
আমরা ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষ ঋষি সুনাকের অসাধারণ কৃতিত্বে অত্যন্ত গর্বিত অনুভব করছি। আমি যতদূর জানি, তিনি যে সাফল্য অর্জন করেছেন তা পশ্চিমা বিশ্বে আমাদের পূর্ব দেশগুলো থেকে আসা অভিবাসীদের দ্বারা প্রাপ্ত সর্বোচ্চ। আমি এবং ঋষি সুনাকের পরিবার একই সময় পশ্চিম দেশে আসি: তারা যান ইংল্যান্ডে আর আমি আসি ক্যানাডায়। আমরা দুটো পরিবারই আমাদের সন্তানদের ভালো শিক্ষা দিয়েছি । তাদের ছেলে ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, এবং আমাদের ছেলে অন্য একটি ক্ষেত্রে –মেডিসিনে–একটি উচ্চস্তরে পৌঁছেছে। এই দুটি ঘটনাই আমাদের অন্যান্য অভিবাসীদের জন্য পরিষ্কার উদাহরণ। অনুগ্রহ করে আপনার সময়, শক্তি এবং অর্থ আপনার সন্তানদের শিক্ষায় নিয়োজিত করুন। একটি সন্তানকে সঠিকভাবে বড় করতে হলে আপনাকে মহান ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। তাদের অনেকেই পড়াশোনা এবং কাজের ক্ষেত্রে শীর্ষ স্থানে উঠতে সক্ষম ।
একটি শেষ আবেদন: আসুন আমরা আমাদের কমিউনিটির সকল সদস্যগণ একে অপরকে ভালবাসি, এবং একে অপরের উপকারের জন্য কাজ করে যাই। আমি আপনাকে আশ্বস্ত করে বলতে পারি যে আমরা বিদেশের বাংলাদেশিরা যদি একে অপরকে ভালবাসি এবং একত্রে কাজ করি তাহলে আমরা বিস্ময়কর সফলতা লাভ করতে পারবো।
May be an image of 1 person, standing and suit