আমাদের মেয়ে শিরিন গত রাতে মন্ট্রিয়ালের একটি শহরতলি ডরভালে তার বাড়িতে আমাদের ৬৩তম বিবাহ বার্ষিকী উদযাপনের আয়োজন করেছিল। যথারীতি সে জমকালো খাবারের ডিনার পরিবেশন করে। সে আমার পছন্দের বিশেষ খাবারগুলি রান্না করে। আমাদের শ্রদ্ধেয় ভাই শফিউল ইসলাম সাহেব অনেক সুন্দ সুন্দর গান গেয়ে অতিথিদের মন জয় করেন।

ঢাকা হলের সামনে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে করতেই দেখা হলো প্রফেসর মকসুদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বললেন যে তিনি একজন যুবতীকে চিনতেন যাকে সোনার মেয়ে এবং তার বাবাকে সুফি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। পরের দিন আয়শাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে বিখ্যাত আমগাছটির কাছে দূর থেকে এক ঝলক দেখলাম। আমি তৎক্ষণাৎ তাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলাম। কয়েকদিন পর সাউথ ধানমন্ডির কাটাবনে আমার শ্বশুর বাড়ির উঠানে আমাদের বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হলো। সেদিন ছিল ৬৩ বছর আগে ১৯৫৯ সালের ১৩ই নভেম্বর।

আমি গত চল্লিশ বছরে অনেকবার বলেছি এবং লিখেছি যে ঘটক সাহেব একটি ছোট ভুল করেছিলেন। আয়েশা সোনার মেয়ে ছিলোনা ; সে আসলে একজন হীরার মেয়ে। সে নিঃস্বার্থভাবে তার স্বামী, সন্তান, নাতি-নাতনি এবং এখন একটা পুতিকে ভালোবেসেছে ও তাদের যত্ন নিয়েছে। অনেক ক্যানাডিয়ান মহিলারা তাকে জিজ্ঞাসা করেন কিভাবে তার পক্ষে এত সফল এবং সদাচারী সন্তানদের বড় করা সম্ভব হয়েচে। আমাদের আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধন তাকে একজন আদর্শ মহিলা বলে গণ্য করে।

আপনারা দোয়া করবেন যে আমরা দু’জনে আমাদের জীবনের বাকী সময়টুকু মানুষের উপকারে ব্যায় করতে পারি।

১. বিয়ের কয়েকদিন পরের ছবি

২. শিরিন, আমাদের কন্যা

৩. ৬৩টম বার্ষিকীতে