আমি কমপক্ষে দু’জন বরিশালি মানুষকে চিনি যারা আমেরিকার আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো আলো বিতরণ করছে। তাদের একজন হলেন সালামান খান। সালমান খান পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার প্রয়াত আবদুল ওহাব খানের নাতি। সালমান একাডেমির টিউটোরিয়াল প্রোগ্রাম বিশ্বজুড়ে তরুণদের পড়াশুনায় প্রভাব বিস্তার করেছে। কয়েক বছর আগে টাইম ম্যাগাজিন তাকে বিশ্বের ১00 জন সবচাইতে বেশি প্রভাবশালী ব্যক্তিদের একজন বলে ঘোষণা করেছিল। বিল গেটসও সালমান খানের কাজে বড়ো রকমের আর্থিক সহায়তা করেন। আমি ভাগ্যবান যে আব্দুল ওহাব খান সাহেবকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতাম। আমি তাঁর উত্তর আলেকান্দা রোডের বিল্ডিংয়ের একটি অংশে থাকতাম। আমার শিক্ষক অধ্যাপক নুরুল হুদা ঐ অংশ ভাড়া নিয়েছিলেন। খান সাহেবের ছেলে সেলিম আমার সহপাঠী ছিলেন। অন্যজন ডাক্তার হামিদ আব্দুর রাব্ব। তার শিকড় কাশিপুর ইউনিয়নের চহথা গ্রামে। সে চিকিৎসা ও মেডিক্যাল গবেষণার কাজে সফলতা অর্জন করেছে। সে মেরিল্যান্ডের জন্স হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয়ের কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট বিভাগের একজন পরিচালক । তাকে বিশ্বের একজন অন্যতম সেরা কিডনি চিকিৎসক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার ১৭ই জুলাই সন্ধ্যা ন’ টায় সে আটলান্টিক মহাসাগরের উপরে একটি প্রাইভেট জেটে রোগী দেখার জন্য মধ্য প্রাচ্যের এক রাজার প্রাসাদে যাচ্ছে। সে এভাবে মাঝে মাঝে মধ্য প্রাচ্যে যায় কয়েকজন রাজার পরিবারের রুগী দেখার জন্য। তাকে দক্ষিণ আমেরিকা ও দুনিয়ার অন্যান্য দেশেও ই সমস্ত দেশের নেতা-নেত্রীদের চিকিৎসা করতে হয়। মাশাল্লাহ, হামিদের গবেষণার ক্ষেত্রে সফলতা অনেক। তার কিডনির উপর গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারগুলো অনেক মানুষের জীবন বাঁচাবে। দুনিয়ার বিভিন্ন মেডিক্যাল স্কুলগুলিতে তার কিছু লেখা ছাত্র ছাত্রীদের প্রয়োজনীয় পাঠ্য হিসাবে ব্যবহার করা হয় । বন্ধুরা হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে হামিদ আমার স্ত্রী আয়শা ও আমার ছেলে। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন। Salman Khan Dr. Hamid Rabb”